কলাপাড়ায় উপকূল দিবসে মোমবাতি প্রজ্বলন, ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ১৮৫ কিলোমিটারে বেগে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে একটি ঘূর্ণিঝড়। এতে উপকূলীয় অঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়।
জলবায়ু-বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক ৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণে সোমবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটের সময়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। ভয়াল ১২ নভেম্বরকে রাস্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানানো হয়।
এ সময়ে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক , হুমায়ুন কবির, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উপকূলীয় সমন্বয়ক মেজবাহ উদ্দিন মাননু, আমরা কলাপাড়াবাসীর সভাপতি নজরুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কলাপাড়া রিপোটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, রাসেল মোল্লা, কলাপাড়া রিপোটার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ফরিদ উদ্দিন বিপু, আমরা কলাপাড়াবাসীর সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সাবেক সভাপতি নেসার উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাফসান রিমন, সদস্য রিফাতুল ইসলাম রিদয়, সদস্য আশিকুর রহমান প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭০সালের ভয়াল ১২ নভেম্বর এই দিনের বেদনা বিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজও ভুলতে পারেনি। ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়।
উপকূল জুড়ে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রান বির্সজন দিয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক মানুষ। সংকট আর সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্র রেখায় জেগে আছে উপকূলীয় অঞ্চল। এ জনপদের মানুষদের প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে। কখনো ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়, কখনো জলোচ্ছ্বাসে ভাসে। প্রতি বছর দুর্যোগে হাজারো মানুষের প্রাণনাশ কোটি কোটি টাকার সম্পদহানী ঘটে। চারদিকে শুধু আতঙ্ক আর আতঙ্ক। উপকূলের মানুষের হাজারও সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন। দরকার টেকসই উদ্যোগ।