তুমি পাহাড়ি, তুমি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় যেকোনো সময় যেতে পারো, চাকরি করতে পারো পড়ালেখা করতে পারো।
তাহলে সমতলের, আমি কেন আমার প্রিয় জন্মভূমি স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে স্বাধীন দেশের পাহাড়ে ঘুরতে গেলে আর্মির পাহারা লাগে? আমি কেন সেখানে ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারিনা? আমি কেন পার্বত্য চট্টগ্রামে যেতে হলে বারোইয়ারহাটে অনেক বাস একসাথে হয়ে বিজিবির কর্ডনে যেতে হয়? তাও আবার বিকেলের মধ্যেই আমাকে ঢুকতে হবে!
তুমি পাহাড়ি, কিন্ত তুমি এদেশের যেকোন জায়গায় থাকতে পারে, বাড়ি করতে পারো।
কিন্ত আমার পাহাড়ে থাকার অধিকার কেন তুমি মানো না? তুমি বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় জায়গা কিনতে পারবা, বসবাস করতে পারবা, বিবাহ করতে পারবা, আর আমি বাংলাদেশী হয়ে আমি তোমার পাহাড়ি এলাকায়, জমি কিনতে পারবো না, আমি স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবো না, আমি নির্বাচন করতে পারবো না, আমি পাহাড়ি কোন মেয়ে বিবাহ করতে পারব না, কোটা সংস্কার নিয়ে কত মায়ের সন্তান ঝরে গেল, অথচ লুকোচক্ষু আড়ালে এ কোটা রয়ে গেল।
হিসাব বলছে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৫১% বাংলাদেশী, খাগড়াছড়ি ৫১.০৮% রাঙ্গামাটিতে ৪২.৪২% বান্দরবনে ৫৮.৮৫% হলেও জেলা পরিষদের অধীনস্থ সহ অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে বাংলাভাষী নিয়োগ প্রায় ৩০ % অন্যদিকে পাহাড়ীরা পায় ৭০% এখন আমি বুঝতে পারি না, এ বিভাজন হয় কোন অনুপাতে? এ কেমন কোটা পদ্ধতি? যে কোটা নিয়ে এত কিছু হল, সে কোটা এখনো রয়ে গেল, আর এ নিয়ে দুর্ভাগ্য হলেও সত্য বাংলাদেশের কোন মিডিয়া, কোন পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে না।